ঢাকা ১১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এরফান কারাগারে, জাহিদের দোষ স্বীকার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩০:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০২০
  • ১৬৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আর তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

বুধবার (০৪ নভেম্বর) দু’দফায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে দু’জনকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মবিনুল হক। জাহিদুল মোল্লা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তা রেকর্ড এবং এরফান সেলিমকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমানের আদালতে এরফান সেলিমের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ। রাষ্ট্রপক্ষে ধানমন্ডি থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. আশরাফ জামিনের বিরোধিতা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলাটিতে গত ২৮ অক্টোবর এ দুই আসামির তিন দিন এবং ১ নভেম্বর দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে এরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে এরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এরফান কারাগারে, জাহিদের দোষ স্বীকার

আপডেট টাইম : ০৬:৩০:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আর তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

বুধবার (০৪ নভেম্বর) দু’দফায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে দু’জনকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মবিনুল হক। জাহিদুল মোল্লা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তা রেকর্ড এবং এরফান সেলিমকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমানের আদালতে এরফান সেলিমের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ। রাষ্ট্রপক্ষে ধানমন্ডি থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. আশরাফ জামিনের বিরোধিতা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলাটিতে গত ২৮ অক্টোবর এ দুই আসামির তিন দিন এবং ১ নভেম্বর দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে এরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে এরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।